Header Ads

Header ADS

তাওবা কবুল হওয়ার লক্ষণ কি কি...

 তাওবা কবুল হওয়ার লক্ষণ

 


তাওবা কবুল হওয়ার লক্ষণ। 


ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) লিখেছেন: তাওবা কবুল হবার চারটি লক্ষণ আছে-

.

১। 'তাওবার পরের অবস্থা পূর্বের চেয়ে ভালো হওয়া।'

—অর্থাৎ তাওবার আগের জীবন এবং পরের জীবনের মাঝে পার্থক্য থাকবে। 

.

২। 'তাওবার পরও সর্বদা আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ধরপাকড়কে ভয় করা।'

—অর্থাৎ তাওবা করে সে নিশ্চিন্ত হয়ে যাবে না। বরং যে কোনো মুহূর্তে আল্লাহর শাস্তি চলে আসার ভয় করবে। 

.

৩। অনুতাপ ও ভয়ে অন্তর চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়া। গুনাহ যত বড়, অন্তরের বিধ্বস্ততা হবে তত বেশি। হযরত ইবনে উয়াইনা (রহ.) নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় এ বিষয়টিই বর্ণনা করেছেন-

﴾তাদের নির্মিত ইমারত তাদের অন্তরে খটকা সৃষ্টি করতে থাকে, তাদের অন্তর ছিন্নভিন্ন হওয়া পর্যন্ত। ﴿ (সূরা তওবা: ১১০)


ইবনে উয়াইনা রহ. বলেন, ‘অন্তর ছিন্নভিন্ন হবে তাওবা দ্বারা।’

.

৪। অন্তরের বিশেষ ভগ্নতা, যা একমাত্র গুনাহগারই অনুভব করে। ক্ষুধা, সাধনা, প্রেম-বিরহ—কোনোকিছুতেই সে ভগ্নতা অনুভূত হয় না—তা এসবের ঊর্ধ্বে। এটি এমন এক অবস্থা, যা রবের সামনে বান্দার অন্তর সম্পূর্ণ টুকরো টুকরো করে দেয়। আল্লাহর সামনে অপরাধী গোলামের মতো লুটিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। যেগোলামকে মনিবের সামনে উপস্থিত করা হয়েছে এবং তার নিষ্কৃতির কোনো পথ নেই। সে জানে, তার জীবন, সফলতা-সৌভাগ্য সবই মনিবের সন্তুষ্টিতে নিহিত। মনিব তার অপরাধের সকল তথ্য জানেন। তা ছাড়া সে মনিবকে ভালোবাসে এবং তার প্রতি একান্ত মুখাপেক্ষী। নিজ দুর্বলতা, অক্ষমতা ও মনিবের মহাপরাক্রম সম্পর্কেও সে অবগত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.